ফ্রান্সে নতুন সরকার ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু পুনর্বহাল
![]() |
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ফ্রান্সে নতুন সরকার ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু পুনর্বহাল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ১২:০৩ | আপডেট: ১২:০৬ পিএম
ফ্রান্সে গঠিত হলো নতুন সরকার। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। আগাম অর্থবছরের বাজেট সংসদে উপস্থাপনের নির্ধারিত সময়সীমার আগে সরকার গঠন সম্পন্ন করতে তিনি নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু-এর সঙ্গে টানা বৈঠক করেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বহাল থাকছেন, আর বিদায়ী শ্রমমন্ত্রী ক্যাথেরিন ভত্রিন পেয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব। অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ম্যাক্রোঁ-ঘনিষ্ঠ রোলাঁ লেস্কু-কে।
এছাড়া, প্যারিসের পুলিশ প্রধান লরঁ নুনিয়েজ-কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি রিপাবলিকান পার্টির (এলআর) ব্রুনো রেতাইয়ো-এর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। পরিবেশ রূপান্তর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের (WWF) সাবেক ফরাসি পরিচালক মোনিক বারবুত।
বিচারমন্ত্রী হিসেবে গেরাল্ড দারমানিন এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী রাশিদা দাতি তাদের পদে বহাল থাকছেন। যদিও দাতি আগামী বছর দুর্নীতির মামলায় বিচারাধীন হবেন।
এক্স (X)-এ দেওয়া বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লেকর্নু বলেন,
“আমরা ফ্রান্সের জন্য বছরের শেষের আগেই বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্য নিয়ে একটি মিশনভিত্তিক সরকার গঠন করেছি। দেশের স্বার্থই আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার।”
গত শুক্রবার আগের সরকার ভেঙে পড়ার মাত্র চার দিন পর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আবারও লেকর্নুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। সোমবার তিনি সংসদে ২০২৬ সালের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। সংবিধান অনুযায়ী বাজেট পর্যালোচনার জন্য ৭০ দিনের সময়সীমা নির্ধারিত রয়েছে।
লেকর্নু বলেছেন, তিনি সব মূলধারার রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চান এবং এমন একটি সরকার গঠন করেছেন যা “দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে জাতীয় স্বার্থে কাজ করবে।”
বর্তমানে ফরাসি রাজনীতি অচলাবস্থায় রয়েছে। ঋণ ও বাজেট ঘাটতি কমাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাপের মধ্যে দেশটি কৃচ্ছ্রসাধনমূলক বাজেট প্রণয়ন করছে। এ ধরনের ব্যয়সংকোচনমূলক পদক্ষেপই পূর্ববর্তী দুই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কারণ হয়েছিল।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সোমবার মিশরে যাচ্ছেন গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি সমর্থনে আন্তর্জাতিক বৈঠকে যোগ দিতে। এতে বাজেট উপস্থাপনের সূচি কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি লেকর্নু সংসদের আস্থা ভোটে ব্যর্থ হন, তবে ফ্রান্সে রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন বাজেট পাস না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে জরুরি ব্যয় অনুমোদন আইনের ওপর নির্ভর করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই