পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নতুন হুঁশিয়ারি: ‘উসকানি পেলে পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া’ - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নতুন হুঁশিয়ারি: ‘উসকানি পেলে পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া’

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নতুন হুঁশিয়ারি: ‘উসকানি পেলে পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া’



পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির আবারও সতর্ক করে বলেছেন, যদি কারও পক্ষ থেকে উসকানি বা আগ্রাসন হয়, পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে পিছপা হবে না এবং প্রয়োজন হলে অনুপাতে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবে—যার ফলে সমগ্র অঞ্চলে ভয়াবহ পরিণতি আসতে পারে। তিনি এসব কথা বলেছেন পিএমএ (Pakistan Military Academy), কাকুল, অ্যাবোটাবাদে ক্যাডেটদের উদ্দেশে বিতর্কিত ভাষণে। 

মুনিরের ভাষণে বলা হয়, “পারমাণবিক অস্ত্রপ্রসূত পরিবেশে যুদ্ধের কোনো স্থান নেই; তবু যদি আমাদের ওপর হামলা করা হয়, আমরা সিদ্ধান্তমূলক ও অনুপাতের বাইরে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারব।” তিনি আরও বলেন, সংঘাত হলে তার ফলভার ভারতের ওপরই পড়বে এবং এর পরিণাম পুরো অঞ্চলকে ভুগিয়ে তুলবে — তাই ইস্যুগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা উচিত। 

এই মন্তব্যের পেছনে প্রেক্ষাপট হিসেবে সাম্প্রতিক দিনে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং–এর বক্তব্যকে যুক্ত করা হচ্ছে; রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন যে ভারতের ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োগে পাকিস্তানের প্রায় প্রতিটি অংশই আওতায় আসছে—যার জবাবে আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও তীব্র হয়। ঘটনার আলাপ-আলোচনায় উভয়পক্ষের কড়া বক্তব্য রিপোর্টিং ওয়েবে আলোচ্য হয়েছে। 

পশ্চিম দিকের বিশ্লেষকরা মন্তব্য করছেন, মুনিরের গত কয়েক মাসে আনীত পারমাণবিক টোনের তালিকায় এটি দ্বিতীয়বারের মতো এমন কঠোর হুঁশিয়ারি—এগুলো কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি ও অঞ্চলের নিরাপত্তাetatকে সংকুচিত করে। কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এটিকে এলাকায় রাজনৈতিক-সামরিক সুইচিং ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অংশ হিসেবে দেখছে। 

প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া

  • উপসর্গগতভাবে, মুনিরের ভাষণ সমকালে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসন্তোষ তৈরি করেছে—কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও বিশ্লেষক এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করেছে। 

  • কূটনৈতিকভাবে এমন রেটোরিক তুলে ধরায় সমঝোতা ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তা আবারও জোরালোভাবে তুলে ধরা হচ্ছে; বিশেষত পারমাণবিক দক্ষতা থাকার প্রেক্ষিতে উভয়পক্ষের শব্দচয়নের প্রভাব বড়। 

পর্যালোচনা

বিশ্লেষকরা বলেন, প্রতিরক্ষা ভাষণ ও হুঁশিয়ারি একদিকে হল প্রতিরক্ষা নীতির অংশ—তবে পারমাণবিক ভাষণ অভিমুখী হওয়া মানে কূটনৈতিক চ্যানেলে তৎপরতা বাড়ানো দরকার। সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে উভয় দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের মেলামেশা জরুরি, অন্যথায় ছোটখাটো উসকানিই বড় খণ্ডনে পরিণত হতে পারে। 

কোন মন্তব্য নেই