বেড়ানোর নামে স্ত্রীকে লাক্কাতুরা চা বাগানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

বেড়ানোর নামে স্ত্রীকে লাক্কাতুরা চা বাগানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত





বেড়ানোর নামে স্ত্রীকে লাক্কাতুরা চা বাগানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি



সিলেট: বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে গলাকেটে হত্যা করেছেন এক প্রবাসী স্বামী। সিলেটের লাক্কাতুরা চা বাগানে ঘটেছে এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্ত স্বামী ফারুক আহমেদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত রাবেয়া বেগম সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার মওলারপাড় গ্রামের মৃত মাহতাব মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী ফারুক আহমেদ, সুনামগঞ্জ সদর থানার রাঙ্গারচর গ্রামের ওমান প্রবাসী আব্দুল আজিজের ছেলে।

দাম্পত্য জীবনে রাবেয়ার আগের বিয়ে এবং পরকীয়া সন্দেহকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে ফারুক ও রাবেয়ার মধ্যে কলহ চলছিল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ফারুক।

হত্যার দিন যা ঘটেছিল

গত ১৩ অক্টোবর হযরত শাহজালাল (রহ.)–এর মাজার জিয়ারতের পর ফারুক বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রী রাবেয়াকে নিয়ে যান লাক্কাতুরা চা বাগানে। সেখানে তাঁর ফুফাতো ভাই আলআমিনের সহায়তায় রাবেয়াকে গলাটিপে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যান দুজনেই।

চার দিন পর অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট নয়, মেমোরি কার্ডে মিলল পরিচয়

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, মরদেহে পচন ধরায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া লেডিস ব্যাগে পাওয়া একটি মেমোরি কার্ডের কথোপকথন বিশ্লেষণ করে নিহত নারীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

এরপর সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামী ফারুককে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং হত্যার পরিকল্পনার বিস্তারিত জানান।

পুলিশের বক্তব্য

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কর্মকর্তা জানান,
“স্ত্রী হত্যার দায়ে ফারুক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় সহযোগী আসামি আলআমিনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও শোকের সৃষ্টি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই