ফেরাউনের লাশ দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন বিজ্ঞানী মরিস বুকাইলি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ফেরাউনের লাশ দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন বিজ্ঞানী মরিস বুকাইলি
নিজস্ব প্রতিবেদক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
প্রাচীন মিশরের শাসক ফেরাউন— ইতিহাসের অন্যতম অহংকারী শাসক হিসেবে পরিচিত। পবিত্র কোরআনে তার অবিশ্বাস, দম্ভ ও নবী মুসা (আ.)–এর প্রতি বিদ্রোহের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
ইসলামী বর্ণনা অনুযায়ী, ফেরাউন নবী মুসা (আ.)–কে হত্যা করতে চাইলে আল্লাহ তাআলা সাগর দ্বিখণ্ডিত করে মুসা (আ.)–কে রক্ষা করেন। ফেরাউন তার সেনাসহ সাগরে প্রবেশ করলে পানি ফিরে আসে, আর সাগরেই তার মৃত্যু হয়। এরপর আল্লাহ ঘোষণা করেন—
“আজ আমি তোমার মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখব, তাদের জন্য নিদর্শন হিসেবে যারা তোমার পরে আসবে।” — (সূরা ইউনূস, আয়াত ৯২)
১৮৮১ সালে মিশরে এক বিশেষ মমি আবিষ্কৃত হয়, যেটি পরবর্তীতে ফেরাউন রামসেস দ্বিতীয় হিসেবে শনাক্ত হয়। আশ্চর্যের বিষয়— কোনো রাসায়নিক সংরক্ষণ ছাড়াই লাশটি অপচনশীল হয়নি।
এই রহস্য উদ্ঘাটনে গবেষণা শুরু করেন ফরাসি বিজ্ঞানী ড. মরিস বুকাইলি । তার গবেষণায় বেরিয়ে আসে—
-
ফেরাউনের লাশে লবণের দাগ ছিল, যা সাগরে ডুবে মৃত্যুর প্রমাণ।
-
হাড়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়, যা জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কার ফল হতে পারে।
-
কোনো রাসায়নিক ব্যবহৃত না হলেও লাশ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।
পরে কোরআনের আয়াতে এই ঘটনার নিখুঁত বর্ণনা দেখে তিনি গভীরভাবে বিস্মিত হন। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও ধর্মীয় সত্যের এই সামঞ্জস্য তাকে মুগ্ধ করে। অবশেষে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
ড. মরিস বুকাইলি পরবর্তীতে লিখেন তার বিশ্ববিখ্যাত গ্রন্থ —
“The Bible, The Qur’an and Science”,
যেখানে তিনি তিনটি ধর্মগ্রন্থের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন এবং কোরআনের নিখুঁততার প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
ফেরাউনের এই সংরক্ষিত দেহ আজও মানবজাতির জন্য এক অনন্য শিক্ষা ও আল্লাহর কুদরতের জীবন্ত নিদর্শন।
কোন মন্তব্য নেই