সব সিম লক করে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির অনুমতি পেল অপারেটররা
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সব সিম লক করে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির অনুমতি পেল অপারেটররা, ২০২৬ থেকে কার্যকর নতুন নিয়ম
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫, সকাল ১১:১৮
অবশেষে দেশের মোবাইল অপারেটরদের জন্য এলো বহুল প্রত্যাশিত অনুমতি। এখন থেকে তারা সব সিম স্লট লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রি করতে পারবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৭ অক্টোবর তাদের ৩০০তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
সব সিম লক থাকবে, কিস্তি শেষেই আনলক
বিটিআরসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অপারেটররা স্মার্টফোন বিক্রির সময় সব সিম স্লট লক করতে পারবে। তবে নির্ধারিত কিস্তির সব বকেয়া পরিশোধ করলে গ্রাহক নিজের পছন্দের অপারেটরের সিম ব্যবহার করতে পারবেন—অর্থাৎ তখন ফোনটি আনলক করে দেওয়া হবে।
এছাড়া স্মার্টফোন প্রস্তুতকারকের নিজস্ব ডিভাইস লকিং অ্যাপ ব্যবহার করেও কিস্তিতে বিক্রি করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
সিম লকিং ও ডিভাইস লকিং—দুই পদ্ধতিই চালু
অপারেটরদের জন্য কিছু শর্ত
বিটিআরসি আরও জানিয়েছে—
-
মোবাইল অপারেটররা নিজেরা স্মার্টফোন আমদানি, উৎপাদন বা সংযোজন করতে পারবে না।
-
তারা অনুমোদিত ব্র্যান্ডের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে বিক্রি করতে পারবে।
-
গ্রাহকের ডেটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক থাকবে।
-
সব ধরনের আর্থিক ও ভোক্তা সুরক্ষা আইন মেনে চলতে হবে।
ভোক্তাদের জন্য সুবিধা, তবে শর্ত স্পষ্ট থাকা দরকার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন,
“এটি ভালো উদ্যোগ। যারা একসঙ্গে অনেক টাকা দিয়ে স্মার্টফোন কিনতে পারেন না, তারা উপকৃত হবেন। তবে যদি কেউ মাঝপথে কিস্তি বন্ধ করে বা ডিভাইস ফেরত দিতে চান—তাহলে কী হবে, সেই বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা জরুরি।”
অপারেটরদের অবস্থান ও প্রতিযোগিতা
এর আগে ২০২৩ সালে বিটিআরসি এক সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বড় অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি সব সিম লক করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানায়।
প্রথমে বাংলালিংক এ প্রস্তাবে আপত্তি জানালেও, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে তারা জানায়—সব সিম লক রাখার বিষয়ে আর আপত্তি নেই, শুধু প্রস্তুতির জন্য সময় প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই