এসএমই খাতকে জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এসএমই খাতকে জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে রূপান্তরে সরকারের উদ্যোগ ত্বরান্বিত
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫ | দুপুর ২:২২
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতকে জাতীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তর করতে ধারাবাহিকভাবে চারটি বৈঠক করেছে বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটি।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসব বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, উদ্যোক্তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এসএমই খাতকে নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে আনার লক্ষ্যে বৈঠকগুলো আয়োজন করা হয়েছে।
বাস্তবায়িত ও প্রস্তাবিত উদ্যোগগুলো:
১️⃣ বৈদেশিক অর্ডার থেকে প্রাপ্ত অর্থের ১০% জমা রাখার নিয়ম বাতিলের উদ্যোগ
২️⃣ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক বৈদেশিক মুদ্রা কোটা বরাদ্দ প্রস্তাব
৩️⃣ নতুন আর্থিক পণ্য নকশা ও উদ্যোক্তাবান্ধব ঋণ কাঠামো তৈরি
৪️⃣ সুদের হার পুনর্বিবেচনা ও পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচি আকর্ষণীয় করা
৫️⃣ বাণিজ্য লাইসেন্সবিহীন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য সীমিত ঋণ প্রদানের সম্ভাব্যতা যাচাই
৬️⃣ ডিজিটাল মানিব্যাগ ও অনলাইন পেমেন্ট সহজীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ
৭️⃣ রফতানি প্রক্রিয়ায় বি-টু-বি ও বি-টু-সি মডেল অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ
৮️⃣ উদ্যোক্তাদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা/অনুমোদন কার্ড চালু প্রস্তাব
৯️⃣ স্থানীয় বীমা কভারেজসহ উন্মুক্ত হিসাবের মাধ্যমে রফতানি অনুমোদন
সভায় লুৎফে সিদ্দিকী বলেন,
“অর্থনীতির গতিশীলতা বাড়াতে এসএমই খাতকে সহজ অর্থায়ন, দ্রুত অর্থপ্রদান ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সহায়তা দিতে হবে। সরকারকে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে হবে, বাধা নয়।”
প্রেক্ষাপট:
বাংলাদেশে এসএমই খাত দেশের কর্মসংস্থান, রফতানি ও শিল্প প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অর্থপ্রাপ্তি, শুল্ক জটিলতা ও লাইসেন্স প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে রয়ে গেছে।
এই খাতকে অর্থনীতির কেন্দ্রে আনতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এখন সমন্বিত সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই