বড় জয় দিয়ে ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু করেছে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো
বড় জয় দিয়ে ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু করেছে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রো। প্রথম রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২১৪ রানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ। দ্বিতীয় স্তরের আরেক ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রো জিতেছে ইনিংস ও ৪১ রানে। এদিকে, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরে রংপুর ও বরিশালের খেলাটি ড্র হয়েছে। খুলনা আর রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার এই স্তরের অপর ম্যাচটিও শেষতক জয়-পরাজয় দেখেনি। ছয় সেঞ্চুরির জমজমাট লড়াই শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
প্রথম রাউন্ডে আলো কেড়েছেন তুষার ইমরান। নতুন মৌসুম শুরুর দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নেয়া তুষার দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরির দেখা পান। আরিফুল হক দ্বিতীয়দিনে দ্বিশতক ছোঁয়ার পরেরদিন রনি তালুকদার পা রাখেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। দুই ডাবলের রাউন্ডে মোট সেঞ্চুরি এসেছে ১৩টি। আর পাঁচ বা ততোধিক উইকেটের দেখা পেয়েছেন ছয়জন বোলার।
ফতুল্লায় ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৪৮২ রানের কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বৃহস্পতিবার শেষ দিনে চট্টগ্রাম অলআউট হয়েছে ২৬৭ রানে। শেষ ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু। আর ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৩৫ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ দিনের খেলা শুরু করে চট্টগ্রাম। ষষ্ঠ উইকেটে ১০০ রানের একটা জুটি গড়েছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। সাইফউদ্দিন ৬০, অঙ্কন করেন ৪৭ রান।
সিলেটে শেষদিনের পুরো এক ঘণ্টাও টিকতে পারেনি সিলেট বিভাগ। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শুভ সূচনা করেছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচটি ঢাকা মেট্রো জিতেছে ইনিংস ও ৪১ রানে। ফলোঅনে পড়ে তৃতীয়দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৪৯ রান। বৃহস্পতিবার শেষদিনে আর ২১ রান যোগ করতেই ১৭০ রানে গুটিয়ে গেছে সিলেটের ইনিংস। সবোর্চ্চ ৭২ রান করেন জাকির হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৪ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আসিফ হোসেন। এর আগে প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর ৪২৬ রানের জবাবে সিলেট করেছিল ২১৫ রান। ঢাকা মেট্রোর হয়ে ১৫৭ রান করা সাদমান ইসলাম হয়েছেন ম্যাচসেরা।
রাজশাহীতে প্রথম স্তরের ম্যাচে তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির (১০৪) পরও খুলনার প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ২১০ রানে। জবাবে মিজানুর রহমানের সেঞ্চুরি (১১৫) ও জহুরুল ইসলামের (১৬৩) দেড়শর সুবাদে রাজশাহী গড়ে ৫৫২ রানের বড় স্কোর। ফলে ৩৪২ রানের লিড নেয় রাজশাহী। তৃতীয় দিন শেষে ১৬০ রানে পিছিয়ে থেকে খুলনা ২ উইকেটে ১৮২ রান নিয়ে শেষ দিনে ব্যাট করতে নামে। তিন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে খুলনা ৪৬৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। এনামুল হক বিজয় ১১৩, তুষার ইমরান ১৫৯ ও সৌম্য সরকার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচটিকে ড্রয়ের পথে নিয়ে যান। দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব হিসেবে তুষার ইমরান ম্যাচসেরা নিবাির্চত হন।
বগুড়ায় অনুষ্ঠিত খেলায় আরিফুল হকের দুদার্ন্ত ডাবল সেঞ্চুরির (২৩১) ওপর ভর করে রংপুর বিভাগ প্রথম ইনিংসে ৫০২ রানের ইনিংস খেলে।
নাঈম ইসলাম খেলেছিলেন ৯২ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস। জবাবে বরিশালের দুই ব্যাটসম্যান ফজলে মাহমুদ (১৯৫) ও সোহাগ গাজীর (১২৮) ব্যাটে ভর করে ৪৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস করে বরিশাল। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড নেয় রংপুর। রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে পুনরায় ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া নাঈম (১০০*) শেষ দিনে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল হক।

কোন মন্তব্য নেই