রাজশাহীর সব উপজেলায় নৌকার জয়
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট রবিবার রাজশাহীর আটটি উপজেলাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলাগুলোর মধ্যে শুধু পবায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে থাকার কারনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্য আটটি উপজেলায় মোট ৫২২টি কেন্দ্রে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহন শেষে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া গেছে।
রাজশাহীর আট উপজেলায় প্রার্থী ছিলেন ৬৯ জন। এর মধ্যে চারজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আগেই। ফলে, নির্বাচনে ৬৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি করেছেন। এর মধ্যে ছয়টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন প্রতিন্দন্দ্বিতা করেছেন। ছয়টি উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ জন এবং আটটি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। সানশাইনের বিভিন্ন উপজেলার স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ি।
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২২০টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পাটির শরীফুল ইসলাম হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮২০টি ভোট। লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না ৪০০ ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করেছেন।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চারজন প্রার্থী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ৪৮ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৫১২ ভোট, জাতীয় পার্টি নেতা সালাহ উদ্দিন বিশ্বাস পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৫ ভোট ও ওয়ার্কার্স পাটির সাইদুর রহমান পেয়েছেন ৭০০ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনিত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তার নিকটতম প্রতিন্দন্দ্বির চেয়ে ৩০ হাজার ১৯৪ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
চারঘাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফকরুল ইসলাম ৫১ হাজার ৩৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীয় ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি টিপু সুলতান পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪০১ ভোট। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফকরুল ইসলাম ২৫ হাজার ৯৪৭ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। এ উপজেলায় জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেনও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।
বাগমারা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনিল কুমার সরকার। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৪৭টি ভোট। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জেলা যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বাবুল হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৪ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলটির জেলার সহ-সভাপতি অনিল সরকার ২৮ হাজার ৪১৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।
দুর্গাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩১১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিন্দন্দ্বি প্রার্থী মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সরদার ভোট পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৯১টি ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ৬ হাজার ৭২০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। এ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল কাদেরও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা পাওয়া যায়নি প্রাথমিকভাবে।
পুঠিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত জিএম হিরা বাচ্চু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭টি। বিপরীতে জাতীয় পার্টির আনসার আলী পেয়েছেন এক হাজার ৪৪৩টি ভোট। আওয়ামী লীগের মনোনীত জিএম হিরা বাচ্চু ৩৮ হাজার ৫১৪ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী লাভ করেছেন।
বাঘা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাভলু। মোহনপুর চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম।
কোন মন্তব্য নেই