চশমাতেও স্টাইলিশ
কম্পিউটার-স্মার্টফোন আক্রান্ত দুনিয়ায় চশমার জন্য এখন আর বুড়ো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় না। কিন্তু নাকে চশমা মানেই কি স্টাইল শেষ? একদমই না। কারণ স্টাইলিশ হওয়ার পথে এখন চশমা মোটেই বাধা নয়। বরং বেশিক্ষণ লেন্স পরে থাকাটা চোখের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়, বলছেন চক্ষুবিশেজ্ঞরা।
* অন্তত একটা চশমা বানিয়ে রাখুন, যেটা কম্পিউটার রে প্রোটেক্ট করে। যখন দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন, তখন ওই চশমাটা ব্যবহার করাই ভাল। এ ধরনের চশমার লেন্সটি একটু দামী হওয়াই বাঞ্ছনীয়। এ ধরনের চশমার ফ্রেম হোক কালো বা ডার্ক কোনও কালারের। ফুল রিম চশমা হলে ভালো হয়। তাতে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে অনেকে রিমলেস চশমায় স্বচ্ছন্দবোধ করেন।
* এবার আসি নানা ধরনের চশমার প্রসঙ্গে। এখন বাজারে খুব চলছে ক্যাটস আই, ওয়েফেরার, হাফ রিম, রাউন্ড ফ্রেম। আপনার মুখ যদি খুব ভারী হয়, তা হলে হাফ রিম বা ওয়েফেরার ফ্রেমই আপনার জন্য উপযুক্ত। আর ক্যাটস আই বা রাউন্ড ফ্রেম বেশি ভাল লাগে অপেক্ষাকৃত কম ভারি মুখে।
* বিয়েবাড়ি বা পার্টি থাকলে সুন্দর পোশাকে সাজার পর চশমা পরতে চান না অনেকেই। যারা লেন্সও ব্যবহার করেন না, ভাল না লাগলেও তাদের এব অনুষ্ঠানেও চশমা পরতেই হয়। এক্ষেত্রে একটু স্টাইলিশ ফ্রেমের দুটো চশমা তৈরি করে রাখতে পারেন। একটা গোল্ডেন ফ্রেম, আর একটা সিলভার বেসড। ফ্রেমশেপ হবে মুখ অনুযায়ী। তবে লেন্স বা ফ্রেম দুটোই বেশি দামের হবে না।
* ওয়েস্টার্ন আউটফিটে পার্টিতে গেলে সিলভার বা গোল্ডেন ফ্রেমের কোনও প্রয়োজনই নেই। সেখানে একটা ওয়েফেরার বা ক্যাটস আই হলেই সমস্যা মিটে যাবে।
* গোল মুখের জন্য দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে সমান এরকম আয়তাকার চশমা বাছুন। চৌকো মুখের জন্য এভিয়েটর লুক আর লম্বা ফেস কাটিংয়ের জন্য লম্বাটে গোল ধাঁচের চশমা পারফেক্ট।
কোন মন্তব্য নেই