আলিফ গ্রুপের কোনো কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণ করবে না - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

আলিফ গ্রুপের কোনো কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণ করবে না



 

সমস্যাগ্রস্ত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলস লিমিটেডকে অধিগ্রহণের জন্য সম্প্রতি বিএসইসির অনুমোদন পেয়েছে আলিফ গ্রুপ। এক্ষেত্রে গ্রুপটির অধীন কোনো কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলকে অধিগ্রহণ করবে না। বরং গ্রুপটির পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে শেয়ার নিয়ে কোম্পানিটির দায়িত্ব নেবেন।

গতকাল ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিমুল ইসলাম।


সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল পাঁচ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। সুদসহ ব্যাংকের দেনা রয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। আর সুদ ছাড়া ২২ কোটি ৫০ হাজার টাকা দেনা রয়েছে। কোম্পানিটির কিছু অব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি রয়েছে এবং কিছু যন্ত্রপাতির কোনো খোঁজ নেই, আবার কিছু যন্ত্রপাতি এখনো ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির কারখানার গ্যাস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বন্ড লাইসেন্স স্থগিত, সম্পদ বণ্টনে অসামঞ্জস্যতা এবং বর্তমান উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে মাত্র ৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কোম্পানিটি চালু করতে প্রাথমিকভাবে ৩০ থেকে ৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এজন্য শিগগিরই একটি শেয়ার মানি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। যেখানে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসাবে অর্থ জমা রাখা হবে। এ অর্থ ব্যাংকঋণ পুনঃতফসিলের জন্য ব্যবহার করা হবে। এছাড়া কারখানায় গ্যাস সংযোগ চালু, স্থগিত থাকা বন্ড লাইসেন্স চালু এবং কোম্পানির কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে ব্যয় হবে। দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির সক্ষমতা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলাকালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং অতীতে লিগ্যাসি ফুটওয়ার ও বিডি অটোকারসের শেয়ার কেনার জন্য বিএসইসির জরিমানার বিষয়ে আজিমুল ইসলাম বলেন, এখানে পুঁজিবাজারের সংশ্লিষ্ট কেউ উপস্থিত নেই। সিঅ্যান্ডএ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনাগুলো সঠিকভাবে বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। লিগ্যাসি ফুটওয়ারকে অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যেই আমরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনেছিলাম। আমার বাবা, মা, আমার স্ত্রী এবং আমার নিজের নামেসহ আরো দুটি প্রতিষ্ঠানের নামে আমরা সেই সময় লিগ্যাসির শেয়ার কিনেছিলাম। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে এতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার অধিগ্রহণ বিধিমালার লঙ্ঘন হয়েছে।

আমরা জানতাম যে এককভাবে কেউ যদি কোনো কোম্পানির ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার কিনতে চায় তাহলে তাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আমাদের কেউ কিন্তু এককভাবে কোম্পানিটির ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার কেনেননি। যদিও এ বিষয়ে বিএসইসির অভিমত হচ্ছে যে আজিমুল ইসলাম অ্যান্ড গং মিলে লিগ্যাসির ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার কেনার মাধ্যমে বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে। যাই হোক এককভাবে নাকি সম্মিলিতভাবে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার অধিগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে এটি একটি আপেক্ষিক বিষয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে আমরা বিএসইসির কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছি। তাদের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করেছি। আর বিডি অটোকারসের শেয়ার কিনলেও কোম্পানিটিকে অধিগ্রহণের কোনো ইচ্ছা আমাদের ছিল না। এ কোম্পানির শেয়ার কেনার বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হলেও এজন্য কিন্তু আমাদের কোনো ধরনের জরিমানা করা হয়নি।





কোন মন্তব্য নেই