আইডিইএ ও মাইক্রোসফটের এলওআই স্বাক্ষর
মাইক্রসফট ফর স্টার্টআপ ফাউন্ডারস হাব প্রোগ্রামের সুবিধা নেয়ার সুযোগ দিয়ে স্থানীয় স্টার্টআপগুলোকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মাইক্রোসফট। ভিজ্যুয়াল স্টুডিও, গিটহাব, এম৩৬৫, পাওয়ার প্লাটফর্ম ও ‘ডায়নামিক ৩৬৫সহ মাইক্রোসফটের বিভিন্ন টুলস ও প্লাটফর্মের সব সুবিধা দেবে এ প্লাটফর্ম। স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য অর্জনে এবং তাদের আইডিয়া বাস্তবায়নেও সক্ষম করে তুলতে ভূমিকা রাখবে এ প্লাটফর্ম।
যোগ্য স্টার্টআপগুলো ওয়ান টু ওয়ান টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি সেশন, ২৪/৭ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনাগত সুবিধা পাবে, যা তাদের সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে এবং মাইক্রোসফট মেন্টর নেটওয়ার্ক থেকে তারা বিশেষায়িত মেন্টরশিপের সুবিধা নিতে পারবে। এছাড়া টেইলর্ড লার্নিং পাথস, কনটেন্ট ও ইভেন্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের স্টার্টআপ যাত্রার পরবর্তী ধাপে উন্নীত হওয়ার সুযোগ লাভ করবেন।
অনুষ্ঠানে আইডিয়ার প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব মো. আলতাফ হোসেন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে আড়াই হাজারের মতো স্টার্টআপ ও ইম্প্যাক্ট এন্টাইরপ্রাইজ রয়েছে। প্রতি বছর এ তালিকায় যুক্ত হচ্ছে দুই শতাধিক স্টার্টআপ। আমাদের দেশের স্টার্টআপগুলোকে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও টুল দিয়ে সহায়তা করে দেশীয় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করছে মাইক্রোসফট। মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত অংশীদারের সমর্থন পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে ১৫ লাখেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। স্টার্টআপগুলোর বিভিন্ন সলিউশনের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ। এতে দেশব্যাপী উদ্যোক্তারা ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নানা সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন।
মাইক্রোসফটের বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউসুফ ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সেন্ট্রাল হাব আইডিয়ার সঙ্গে কাজ করতে আমরা অত্যন্ত আগ্রহী। এ অংশীদারত্বের মাধ্যমে আমরা উদ্যোক্তাদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গতানুগতিক বাধাগুলো দূর করে তাদের ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে উদ্ভাবন ও প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করতে চাই।’
মাইক্রোসফট ফর স্টার্টআপ ফাউন্ডারস হাব প্লাটফর্মটি সব উদ্যোগের জন্য বিশেষায়িত প্লাটফর্ম। এ প্লাটফর্ম পারসোনালাইজড টেকনিক্যাল টুল ও বিজনেস রিসোর্সের মাধ্যমে স্টার্টআপ উদ্যোগগুলোকে নতুন সব মাইলফলক অর্জনে ভূমিকা রাখবে। যেকোনো সময় উদ্যোক্তারা এ প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন এবং বিনামূল্যেই তাদের পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সুবিধা পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই