উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থানান্তর হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পরিকল্পনা ও ভূরাজনৈতিক কারণে চীন থেকে সার্ভার উৎপাদন কমিয়ে নিচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাইওয়ান, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় কার্যক্রম সরিয়ে আনছে তারা। ডিজিটাইমস রিসার্চের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকায় সার্ভার উৎপাদন খাত সরে আসা প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের জন্য তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা। ডিজিটাইমস রিসার্চ বলছে, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের বাণিজ্যযুদ্ধের আগে বৈশ্বিক সার্ভার উৎপাদনের ৭০-৮০ শতাংশই হতো চীনে। ২০২২ সালে এ ম্যানুফ্যাকচারিং হাবটিতে সার্ভার উৎপাদন নেমে এসেছে বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬০ শতাংশে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বেইজিংয়ের বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তপ্ত মুহূর্তে ২০১৯ সালে সার্ভার সরবরাহ চেইন তাইওয়ানে সরিয়ে আনে স্থানীয় কোম্পানি ইনভেনটেক ও কোয়ান্টা। ডিজিটাইমস রিসার্চের সার্ভার বাজার বিশ্লেষক ফ্রাঙ্ক কুং বলেন, ২০২৪ সালে বৈশ্বিক সার্ভার উৎপাদনে চীনের হিস্যা ৩৫ শতাংশে নেমে আসবে। একই সময়ে সার্ভার উৎপাদন বাড়বে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার।
সার্ভারের প্রধান গ্রাহক অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, গুগল ও মেটার আয়ের বড় অংশ আসে উত্তর আমেরিকা থেকে। এ কারণে কিছু সার্ভার উৎপাদন কারখানা যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর মতো দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোয় উৎপাদনকাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত সার্ভার সরবরাহ করাসহ তাদের পরিবহন ব্যয় কমে গেছে।
ফ্রাঙ্ক কুং বলেন, সার্ভার নির্মাতা কোয়ান্টা কম্পিউটার থাইল্যান্ডে ও উইয়ান মালয়েশিয়ায় কার্যক্রম সরিয়ে আনছে। ভিয়েতনামে সার্ভার উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছে ফক্সকন। এদিকে মিটাক হোল্ডিংস জানায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। তবে কোন দেশে কারখানা চালু হতে পারে তা সুস্পষ্টভাবে জানায়নি সার্ভার নির্মাতা কোম্পানিটি।

কোন মন্তব্য নেই