তথ্য গোপনের চুক্তি অপরাধ নয়, তবুও কেন অভিযুক্ত ট্রাম্প
সম্প্রতি ফক্স নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস বলেছেন, তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আর এ তথ্য গোপন রাখতে ২০১৬ সালে নির্বাচনের আগে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট।
বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছে আদালত। তবে এ ঘটনার জন্য ট্রাম্পের জেল হোক, এমনটা চান না ড্যানিয়েলস। কারণ হিসেবে বলছেন, এ অপরাধ কারাদণ্ড পাওয়ার মতো গুরুতর কিছু নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট’ বা তথ্য না প্রকাশ করার চুক্তির বিনিময়ে কাউকে টাকা দেয়া অবৈধ নয়। কিন্তু যেহেতু কাজটি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এক মাস আগে, সেহেতু এটি নির্বাচনের প্রচার বিধি লঙ্ঘন করতে পারত। অবশ্য ২০১৮ সালে পর্ন তারকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের খবর ছড়ানোর পর থেকেই অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি মামলায় আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। গত ৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়েরের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
এদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে গোপনে অর্থ দেয়া এবং প্রাক্তন প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডুগালের সঙ্গে সম্পর্কের খবর না ছাপতে অর্থ দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়।
এদিকে দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, দোষী সাব্যস্ত হলেও আইনগতভাবে তাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে বাদ দেয়া যাবে না।
কোন মন্তব্য নেই