বিপদের কারণ হতে পারে ক্রিম বা জেলি দেওয়া বিস্কুট
প্রতিদিন সকালের নাশতায় কিংবা বিকেলের চায়ের সঙ্গে মজাদার বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। বিশেষ করে ক্রিম, জ্যাম বা জেলি দিয়ে ভরা বিস্কুট শিশুদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়।
অতিথি আপ্যায়নেও এই ধরনের বিস্কুট প্রায়শই ব্যবহৃত হয়। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই বাহারি স্বাদের বিস্কুট স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর!
এই বিস্কুটে ব্যবহৃত ক্রিম বা জেলি মোটেও প্রাকৃতিক নয়। এতে থাকা কৃত্রিম রং, ফ্লেভার, চিনি ও সংরক্ষণকারী রাসায়নিক পদার্থ শুধু হজমের সমস্যা তৈরি করে না, দীর্ঘমেয়াদে হার্ট অ্যাটাক ও ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়।
কী থাকে এই ক্রিমে?
বাজারে পাওয়া ক্রিম বা জেলি ভরা বিস্কুটে সাধারণত নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করা হয়। যেমন:
হাইড্রোজেনেটেড ভেজিটেবল অয়েল বা মার্জারিন: এটি ট্রান্স ফ্যাটের উৎস, যা শরীরের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত চিনি: স্বাদের জন্য আকর্ষণীয় হলেও, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ ও রং: যেমন বিএইচটি, বিএইচএ— এগুলো লিভার, কিডনি ও দাঁতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কী ক্ষতি হতে পারে?
১. হার্টের ঝুঁকি: ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এতে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে।
২. ডায়াবেটিস: অতিরিক্ত চিনি ও কৃত্রিম উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. হরমোনজনিত সমস্যা: নিয়মিত খেলে শরীরে মেদ জমে এবং হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
4. হজমের সমস্যা: ময়দা দিয়ে তৈরি এই বিস্কুটে ফাইবার না থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
5. মাড়ি ও দাঁতের ক্ষতি: ‘ওয়ার্ল্ড জার্নাল অফ ডেন্টিস্ট্রি’ অনুযায়ী, ক্রিম বেশি খেলে মুখের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে দাঁত-মাড়িতে সংক্রমণ হতে পারে।
করণীয় কী?
চা-কফির সঙ্গে বিস্কুট খেতে চাইলে সাবধান হতে হবে। বিশেষ করে ক্রিম বা জেলি দেওয়া বিস্কুট শিশুদের জন্য আরও ক্ষতিকর। এগুলোর পরিবর্তে ঘরে তৈরি হালকা সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নেওয়াই ভালো।
কোন মন্তব্য নেই