ভুয়া পুলিশ স্টেশন বানিয়ে প্রতারণা, নয়ডায় গ্রেফতার ৬

 

ভারতের উত্তর প্রদেশের নয়ডায় অবিশ্বাস্য এক ঘটনা ঘটেছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ নামে ভুয়া পুলিশ স্টেশন চালিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে গৌতম বুদ্ধ নগর পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা সবাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, চক্রটি সরকারি কর্মকর্তা সেজে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত। অফিসে পুলিশ সদৃশ রঙ, লোগো, এমনকি ইন্টারপোলসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম ব্যবহার করা হতো। সেখানে মন্ত্রণালয়ের জাল সনদপত্র, ভুয়া পরিচয়পত্র ও সিলমোহর দিয়ে নিজেদের প্রভাবশালী হিসেবে উপস্থাপন করত তারা।

গত রোববার (১০ আগস্ট) মধ্যরাতে সেক্টর-৭০ এর বিএস-১৩৬ নম্বর ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে সরকারি সংস্থার মতো সাজানো অফিস থেকে ভুয়া সনদপত্র, ব্যাংকের চেকবই, এটিএম কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, মোবাইল ফোন, সাইনবোর্ড ও নগদ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়।

ডিসিপি সেন্ট্রাল নয়ডা শক্তি মোহন আরস্থি জানান, চক্রটি মাত্র ১০ দিন আগে অফিস চালু করে। ৪ জুন ভাড়া নেওয়া জায়গায় বোর্ড লাগিয়ে পুলিশ বাহিনীর সমান্তরাল কাঠামো তৈরির চেষ্টা চলছিল। এখন পর্যন্ত অল্প কিছু মানুষকে টার্গেট করলেও আরও ভুক্তভোগী চিহ্নিতের কাজ চলছে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— বিবাশ চন্দ্র অধিকারী, তার ছেলে অরঘ্য অধিকারী, বাবুল চন্দ্র মণ্ডল, পিন্টু পাল, সম্পদ মল ও আশীষ কুমার। বিবাশ চন্দ্র অধিকারীর কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, ৬টি চেকবই, ১৬টি রাবার স্ট্যাম্প, ৯টি আইডি কার্ড, ট্রাস্ট ডিড ও নগদ টাকা উদ্ধার হয়। অন্যদের কাছ থেকেও একাধিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, তারা অনলাইনে ভুয়া আন্তর্জাতিক সনদপত্র প্রদর্শন করে নিজেদের বৈধ প্রমাণের চেষ্টা করত। এমনকি যুক্তরাজ্যে শাখা অফিস আছে বলেও দাবি করত। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও প্রতীক ও নাম (অপব্যবহার প্রতিরোধ) আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।