মাউশির নতুন নির্দেশনা: শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সামাজিকমাধ্যমে সতর্ক থাকার আদেশ
 |
| ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত |
মাউশির নতুন নির্দেশনা: শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সামাজিকমাধ্যমে সতর্ক থাকার আদেশ
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং সদ্য প্রণীত ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’ অনুযায়ী অনলাইন আচরণবিধি লঙ্ঘন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা:
-
সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা যাবে না।
-
প্রশাসনিক গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা যাবে না।
-
জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যাবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত মত প্রকাশের সময় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি মেনে চলবেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এবং এইচএসসি খাতা মূল্যায়নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মাউশি নির্দেশ দিয়েছে, স্কুল ও কলেজ প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সক্রিয় নজরদারি রাখতে হবে, যাতে পরীক্ষার প্রশ্ন, ফলাফল বা গোপন নথি অনলাইনে ছড়িয়ে না পড়ে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল নৈতিকতা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের সুপারিশও করা হয়েছে, যাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অনলাইন জগতে দায়িত্বশীল আচরণে অভ্যস্ত হন।
কোন মন্তব্য নেই