মালিবাগ স্বর্ণচুরি মামলায় চট্টগ্রাম–বরিশাল–নারায়ণগঞ্জে অভিযান: ১৯০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মালিবাগ স্বর্ণচুরি মামলায় চট্টগ্রাম–বরিশাল–নারায়ণগঞ্জে অভিযান: ১৯০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মালিবাগ ফরচুন শপিং মলে সম্পা জুয়েলার্সে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর স্বর্ণচুরির ঘটনায় টানা অভিযানে প্রায় ১৯০ ভরি স্বর্ণ, ৯৩.৫ গ্রাম রুপা, নগদ ১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের লালবাগ বিভাগ।
এই ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে— শাহিন মাতব্বর ওরফে শাহিন, নুরুল ইসলাম, উত্তম চন্দ্র সূর এবং অনিতা রায়।
চাঞ্চল্যকর চুরির পরিকল্পনা
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি প্রায় তিন মাস আগে থেকে দোকানটি লক্ষ্য করে রেকি চালায়।
ঘটনার দিন দিনের বেলা মার্কেটের ওয়াশরুমের জানালায় ইউলুপ করে চিকন সুতা ঝুলিয়ে রাখা হয়। রাতে এসে সেই সুতার সাহায্যে রশি বেঁধে উপরে উঠে জানালার গ্রিল কেটে দোকানে প্রবেশ করে।
সেখানে আগে থেকে লুকিয়ে রাখা বোরকা ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে তারা চুরি সম্পন্ন করে।
অভিযানে উদ্ধার ও গ্রেপ্তার
ডিবির তিনটি টিম ৭২ ঘণ্টা টানা অভিযান চালায় চট্টগ্রাম, বরিশাল ও নারায়ণগঞ্জে।
প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে শাহিন মাতব্বরকে, পরে ফরিদপুর থেকে চুরিকৃত স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এরপর বরিশাল থেকে আরও দুইজনকে এবং ঢাকায় এসে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের সমন্বয়কারী নুরুল ইসলামকে, যিনি মোটরসাইকেল দিয়ে রেকি ও আসামিদের পরিবহন করতেন।
চক্রের পূর্ব ইতিহাস
অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, এ চক্রটি পূর্বেও ২০২১ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটে স্বর্ণচুরিতে জড়িত ছিল।
জামিনে বেরিয়ে এসে তারা পুনরায় একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের একজনের স্ত্রীও ঘটনাটি জানতেন ও সহযোগিতা করেছিলেন।
বাকি স্বর্ণের খোঁজে তদন্ত
চুরির শিকার দোকানমালিক দাবি করেছেন, দোকানে মোট ৫০০ ভরি স্বর্ণ ছিল। উদ্ধার হয়েছে ১৯০ ভরি।
বাকি স্বর্ণের অবস্থান জানতে ডিবি তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
একজন আসামি এখনো পলাতক; তাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে বাকি স্বর্ণ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিবির মন্তব্য
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, “চক্রটি অত্যন্ত সংগঠিত ও পেশাদার। তারা এলাকায় কৃষিকাজ বা গরুর ফার্মে কাজের পরিচয়ে অবস্থান করলেও গোপনে বড় চুরির পরিকল্পনা করত।”
তিনি আরও যোগ করেন, “গত এক বছরে ঢাকায় সংঘটিত বড় চুরির প্রায় সবগুলো মামলাতেই আমরা সফলভাবে উদ্ঘাটন করেছি। ফরচুন মার্কেটের ঘটনাটিও তার একটি উদাহরণ।”
কোন মন্তব্য নেই