জুলাই সনদ ২০২৫: নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার স্বাক্ষর আজ, অনিশ্চয়তায় কিছু দল

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই সনদ ২০২৫: নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার স্বাক্ষর আজ, অনিশ্চয়তায় কিছু দল
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | রাজনৈতিক প্রতিবেদক
রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহুল আলোচিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ–২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। এটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে একটি নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল, যার নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতি প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
যদিও সনদটি আজ স্বাক্ষরিত হচ্ছে, এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, আইনগত ভিত্তি ও গণভোটের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক চলছে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, “আজ কোনো দল স্বাক্ষর না করলেও পরবর্তীতে তারা যুক্ত হতে পারবে।” কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত, যাতে আইনগত ভিত্তি নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা যায়।
দলগুলোর অবস্থান
-
বিএনপি ও মিত্র দলসমূহ: সনদে দেওয়া ‘নোট অব ডিসেন্ট’ অন্তর্ভুক্ত হলে তারা স্বাক্ষর করবে।
-
জামায়াতে ইসলামী: অনুষ্ঠানে অংশ নেবে, তবে আইনগত ভিত্তি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত স্বাক্ষর করবে না।
-
এনসিপি (জাতীয় নাগরিক পার্টি): আইনগত ভিত্তি ছাড়া স্বাক্ষর মূল্যহীন বলে ঘোষণা দিয়েছে।
-
বাম জোট (সিপিবি, বাসদ, জাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী): নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না।
বিতর্কিত ইস্যুগুলো
-
গণভোটের সময়: নভেম্বরেই হবে কি না, নাকি সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত হবে—এ নিয়ে বিভ্রান্তি।
-
সংবিধান সংশোধন: স্বাধীনতা ঘোষণা ও ইতিহাস-সম্পর্কিত অংশ বাদ যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
-
আইনগত ভিত্তি: এনসিপি ও জামায়াত বলছে, আদেশ ছাড়া সনদ কার্যকর নয়।
ভবিষ্যৎ প্রভাব
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তারিখ পরিবর্তনযোগ্য নয়।”
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী মনে করেন, “সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উৎসবমুখর নির্বাচনের যাত্রা শুরু হতে পারে, তবে অসম্মতি থাকলে স্থবিরতা সৃষ্টি হতে পারে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সব দল যদি স্বাক্ষর করে, তবে এটি দেশের রাজনৈতিক ঐকমত্যের নতুন যুগ সূচনা করবে। কিন্তু কোনো প্রধান দল অনুপস্থিত থাকলে উদ্যোগটি গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পড়তে পারে।
কোন মন্তব্য নেই