শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে মিথ্যা জবানবন্দী নেয়ার অভিযোগ ড্যাফোডিল উপাচার্যের

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে মিথ্যা জবানবন্দী নেয়ার অভিযোগ ড্যাফোডিল উপাচার্যের
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
সাভারে দুই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে জোরপূর্বক মিথ্যা জবানবন্দী নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আর কবির।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পিতভাবে সংঘর্ষের দায় ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। সংঘর্ষে ড্যাফোডিলের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উপাচার্য অভিযোগ করে বলেন, “রবিবার রাতে সংঘর্ষের পর আমাদের ১১ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে জোর করে পরিকল্পিত হামলার দায় স্বীকারের ভিডিও ধারণ করে প্রচার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীদের একতরফাভাবে দোষী প্রমাণের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনাটির প্রকৃত কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
অধ্যাপক এম আর কবির বলেন, “সিটি ইউনিভার্সিটির অ্যাকাউন্ট থেকে দেড় কোটি টাকা চুরি, অস্ত্রসহ হামলার নির্দেশ এবং লুটপাটের ঘটনাকে আড়াল করতেই মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে ড্যাফোডিলকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সাংবাদিকদের হেনস্তা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।” এসময় সাংবাদিকদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেন উপাচার্য।
পরিস্থিতি বিবেচনায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমানসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে সাভারের খাগান এলাকায় ড্যাফোডিল ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
কোন মন্তব্য নেই