চট্টগ্রাম বন্দরে সংকট নিরসনের পথে: গাড়ি মালিকদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি অব্যাহত - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

চট্টগ্রাম বন্দরে সংকট নিরসনের পথে: গাড়ি মালিকদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি অব্যাহত

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত





চট্টগ্রাম বন্দরে সংকট নিরসনের পথে: গাড়ি মালিকদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতি অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৩

চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন মাশুল বাড়ানোর প্রতিবাদে চলমান অচলাবস্থা কিছুটা শিথিল হতে শুরু করেছে। গাড়ি মালিক সংগঠনগুলো কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে বন্দর এলাকায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠকের পর গাড়ি মালিক সংগঠনগুলো কর্মসূচি তুলে নেয়।

বৈঠকে চেয়ারম্যান জানান, বর্ধিত প্রবেশ ফি স্থগিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন গেজেট প্রকাশ করা হবে। এর আগে ৫৭ টাকার পুরনো হারে প্রবেশ ফি আদায় অব্যাহত থাকবে।

আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউসুফ মজুমদার বলেন, “বন্দর চেয়ারম্যানের আশ্বাসের পর বিকাল ৫টা থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।”

তবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছেন। সংগঠনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম বলেন, “বন্দরের মাশুল অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করছি।”

পোর্ট ইউজার্স ফোরাম আয়োজিত সভায় আহ্বায়ক আমীর হুমায়ূন মাহমুদ চৌধুরী সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ দিনে গড়ে তিন হাজার কনটেইনার খালাস হলেও গতকাল তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৯৫ এককে। এছাড়া ডিপো থেকে বন্দরে আনা রফতানি কনটেইনারের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।

ধীরগতির কারণে বেসরকারি ডিপোগুলোতে রফতানি পণ্যের চাপ বাড়ছে। ডিপো মালিক সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, “গাড়ি মালিকদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ফলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।”

উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধির গেজেট প্রকাশ করে, যা ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্তকে বিদেশি অপারেটরদের পক্ষে ‘অন্যায্য সুবিধা’ হিসেবে অভিহিত করে এর প্রতিবাদ জানায়।

কোন মন্তব্য নেই