নভেম্বরে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কার্যক্রম: ৩১ লাখ শিশুকে ডিম, দুধ ও ফল দেওয়া হবে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

নভেম্বরে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কার্যক্রম: ৩১ লাখ শিশুকে ডিম, দুধ ও ফল দেওয়া হবে

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

নভেম্বরে শুরু হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কার্যক্রম: ৩১ লাখ শিশুকে ডিম, দুধ ও ফল দেওয়া হবে


অনলাইন ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪

আগামী নভেম্বর থেকে দেশের ১৬৫ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত স্কুল ফিডিং কার্যক্রম। এতে প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচ দিন ডিম, দুধ, কলা, পাউরুটি, বিস্কিট ও দেশীয় ফল পাবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান, ১৭ নভেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম চালু হবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার বিবেচনা করে প্রতিটি জেলায় একটি করে উপজেলা বাছাই করা হয়েছে। নির্ধারিত ওই উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ফিডিং কর্মসূচি চালু হবে।”

তবে বিশেষভাবে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও এই প্রকল্পের আওতায় থাকবে বলে জানান তিনি।

মহাপরিচালক আরও বলেন, “মানসম্মত খাবার পেলে বাচ্চারা পড়াশোনায় মনোযোগী হবে, পুষ্টির চাহিদা মিটবে এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার কমে আসবে।”

তিনি জানান, প্রাথমিক শিক্ষকদের গ্রেড উন্নয়ন ও শূন্য পদ পূরণের কাজও চলমান। বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য, যা দ্রুত পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৩২ হাজার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শামসুজ্জামান আরও বলেন, “প্রধান শিক্ষকদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। ক্ষুদ্র মেরামতের খরচের সীমা দেড় লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে।”

এছাড়া দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল সরবরাহের পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তিন হাজার স্কুলে বিতরণের কাজ চলছে।

মহাপরিচালক আশা প্রকাশ করেন, “আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের কোনো জরাজীর্ণ স্কুল থাকবে না, আর শিশুরা আরও উন্নত পরিবেশে শিক্ষা লাভ করবে।

কোন মন্তব্য নেই