পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কম, ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় আকারের পাঙ্গাস মাছ
 
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
 
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কম, ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় আকারের পাঙ্গাস মাছ
টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ না মিললেও এখন ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় বড় পাঙ্গাস মাছ। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নেমে জেলেরা ইলিশের বদলে বিশাল আকারের পাঙ্গাস পেয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
চাঁদপুরের মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটারজুড়ে অভয়াশ্রম এলাকায় এসব পাঙ্গাস ধরা পড়ছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে স্থানীয় জেলে ও আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। এর পর থেকেই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বড় বড় নদীর পাঙ্গাস।
চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ইলিশের জন্য পরিচিত হলেও এবার সেখানে জায়গা নিয়েছে পদ্মার পাঙ্গাস। কোনো কোনো জেলে দিনে ৪০-৪৫টি পর্যন্ত বড় পাঙ্গাস মাছ ঘাটে নামাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
জেলে কাদির জানান, “ইলিশ না পেলেও এখন বড় পাঙ্গাস ধরতে পারছি। এতে অন্তত ট্রলারের খরচটা উঠছে।”
চাঁদপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, “১৫ কেজি ওজনের পাঙ্গাসও ধরা পড়ছে। প্রতিকেজি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ১০০ মণ পাঙ্গাস বিক্রির লক্ষ্য নিয়েছি।”
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, “নিষেধাজ্ঞা সফল হওয়ায় নদীতে ইলিশের পাশাপাশি পাঙ্গাসসহ নানা প্রজাতির মাছ বেড়েছে। সামনে বড় ইলিশ পাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।”
চাঁদপুরের সাবেক ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, “নদীতে পর্যাপ্ত খাবার থাকায় বড় বড় পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি মা ইলিশও পর্যাপ্ত ডিম ছেড়েছে, তাই শিগগিরই ইলিশও ধরা পড়বে বলে আশা করা যায়।”
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
কোন মন্তব্য নেই