কার্বন নিঃসরণ মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে অপো
ক্রমাগত বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ বৃদ্ধি মোকাবেলায় ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানি অপো। বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে সম্প্রতি স্পেনের বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত এমডব্লিউসি ২০২৩-এ ‘অপো ক্লাইমেট অ্যাকশন রিপোর্ট: ক্লাইমেট প্লেজেস অ্যান্ড লো কার্বন ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অপো। প্রতিবেদনে ২০৫০ সালের মধ্যে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উৎপাদনে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৈশ্বিক কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান ডেলয়েটের সহযোগিতায় প্রস্তুত করা এ প্রতিবেদনে পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, লো-কার্বন ম্যানুফ্যাকচারিং, পণ্য থেকে কার্বনের পরিমাণ কমানো, কার্বন নিঃসরণ কম হয় এমন খাতগুলোয় বিনিয়োগ, কার্বন নিঃসরণ ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় খাতসংশ্লিষ্ট মানদণ্ড নিয়ে অন্যদের সঙ্গে অংশীদারত্ব করার ক্ষেত্রে কাজ করবে অপো।
এ প্রসঙ্গে অপোর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও টনি চেন বলেন, ‘কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনে আমাদের লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন হবে সংকল্প ও ধৈর্য। আমরা যেভাবে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ঠিক একইভাবে “টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড” লক্ষ্য নিয়ে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনেও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
অপোর দাবি, বাণিজ্যিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সবুজ উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে অপো। জ্বালানি সাশ্রয় ও নিঃসরণ কমানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের মাধ্যমে ২০২২ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বছরপ্রতি ছয় হাজার টন গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এছাড়া প্রডাক্টের প্যাকেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতি অনুসরণ করে অপো। চলতি বছর থেকে স্মার্টফোন প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে প্রায় সব ধরনের প্লাস্টিক দূর করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অপো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পণ্যের স্থায়িত্ব বাড়াতে এরই মধ্যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি অর্জন করতে শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ই-বর্জ্য দূষণের সমস্যা মোকাবেলা করতে অপো বিভিন্ন পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য সিস্টেম তৈরি করেছে। প্রডাক্টে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর পুনরায় ব্যবহার উৎসাহিত করার জন্য দেশ এবং আন্তর্জাতিক উভয় বাজারে ট্রেড-ইন পরিষেবা চালু করেছে।
কোন মন্তব্য নেই