‘মেয়েদের ক্রিকেটে আগ্রহী হচ্ছে অভিভাবকরা’
ছেলেদের ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত দল। মেয়েদের ক্রিকেটেও এগিয়েছে অনেক। দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এখন পরিচিত বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটাররা। বিগ ব্যাশ, টি-টোয়েন্টি লীগ খেলার আমন্ত্রণ পাচ্ছেন তারা। সর্বশেষ মেয়েদের আইপিএল খেলতে ভারতে গিয়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের পেস অলরাউন্ডার জাহানারা আলাম। তার দলের নাম ভ্যালোসিটি। নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার মিতালি রাজ। সেখানেই ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবপোর্টাল ইএসপিএনক্রিনইনফোর সঙ্গে এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জাহানারা শুনিয়েছেন, তার ক্রিকেটার হয়ে উঠার কাহিনী, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের আগ্রযাত্রার গল্প।
গত বছর মেয়েদের এশিয়া কাপের রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের শেষ বলে বাংলাদেশকে জেতান জাহানারা। ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেস অলরাউন্ডার ২০১৮ সালের আইসিসির বর্ষসেরা একাদশের দ্বাদশ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। জাহানারা জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ জয় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটে নব-দিগন্ত খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘রক্ষণশীল বাংলাদেশে কয়েক বছর আগেও চিত্রটা এমন ছিল না। তবে এশিয়া কাপ জেতার পর অনেক অভিভাবকই মেয়েদের ক্রিকেটে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। গত কয়েক বছরে আমাদের ক্রিকেটে অভূতপূর্ণ উন্নতি হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া কাভারেজ বাড়ছে। আমরা বেশি বেশি ম্যাচ জিতলে আশা করি, আরো কাভারেজ ও স্পন্সর পাবো।’
২০০৭ সাল থেকে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন খুলনার মেয়ে জাহানারা। তখন ন্যূনতম ক্রিকেটীয় জ্ঞানও ছিল না তার। সেই জাহানারাই এখন দেশের অন্যতম বড় তারকা। নিজ পরিবারকে আর্থিক সহোযোগিতা করছেন ক্রিকেট খেলে। পাঁচ-ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় জাহানারা বলেন, ‘এখন অধিকাংশ সময় ঢাকায় কাটাতে হয়। মাসের পর মাস পরিবারের সঙ্গে দেখা হয় না। তবে এই ত্যাগটুকুর মধ্য দিয়ে আমি এমন একটি খেলায় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, যেটি আমাকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে ও সামাজিক মর্যাদা দিয়েছে। মেয়ে হিসেবে পরিবারকে সাহায্য করতে পারার অনুভূতিটা সত্যিই দারুণ।’
বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে রুমানা ও খাদিজাতুল কুবরা মেয়েদের বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি লীগে খেলেছেন। জাহানারাও স্বপ্ন দেখেন বিগ ব্যাশ খেলার। স্বপ্ন দেখেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট আরো এগিয়ে যাবে। র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ পাঁচ দলে জায়গা করে নেবে আর দেশকে আরো বড় সাফল্য এনে দেবে।
কোন মন্তব্য নেই