একদিনে করোনায় মৃত্যু ৪ হাজার
ক্যাপিটল ভবনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের দিনে আরেক তাণ্ডবে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। করোনাভাইরাসে একদিনে মৃত্যুতে রেকর্ড হয়েছে। ৬ জানুয়ারি একদিনেই অন্তত ৩ হাজার ৯৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছুটির কারণে করোনায় বেশ কিছু মৃত্যুর বিষয়টি দেরিতে রেকর্ড হয়েছে। তাই, মৃত্যুতে নতুন এই রেকর্ড দেখাচ্ছে। অঙ্গরাজ্যের মধ্যে নিউ হ্যাম্পশায়ার, ওকলাহোমা ও পেনসিলভানিয়ায় দৈনিক মৃত্যু বেড়েছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, এই তিনটি রাজ্য ছাড়া আরও কিছু রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তে রেকর্ড হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চারটি রাজ্যে ইতিমধ্যে ১০ লাখের বেশি করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পঞ্চম রাজ্য হিসেবে এ তালিকায় ৬ জানুয়ারি যুক্ত হয়েছে ইলিনয়।
নতুন বছরের শুরু থেকে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অ্যারিজোনায় সংক্রমণের হার বেশ দ্রুত বাড়ছে। গত কয়েক দিনে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুতে এই রাজ্যে রেকর্ড হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গ্রীষ্মে সংক্রমণ যখন শীর্ষে ছিল, এখন ঠিক তার দ্বিগুণ হয়েছে।
অ্যারিজোনার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আফসোস করে বলছেন, মহামারির প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে এখনো কার্যকর উদ্যোগ বা বা সাধারণ মানুষের মধ্যেও সতর্কতা দেখছেন না তারা।
অ্যারিজোনার বৃহৎ হাসপাতাল নেটওয়ার্ক ব্যানার হেলথের প্রধান ক্লিনিক্যাল অফিসার মারজোরি বেসেল বলছেন, ‘করোনা আমাদের ওপর জেঁকে বসার পরও অধিকাংশ মার্কিন জানতে চায় না, স্বীকার করতে চায় না, স্বীকৃতি দিতে চায় না, বুঝতে চেষ্টা করে না, আমরা এখন আমরা এক কঠোর পরিণতির মুখোমুখি।’
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য বিশেষ করে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। মাত্র দুই সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস মেট্রোপলিটন এলাকায় ২ লাখ ৪০ হাজারের বেশি করোনা সংক্রমিত মানুষ শনাক্ত হয়েছে।
অপ্রত্যাশিতভাবে ধীর গতিতে শুরু হওয়া করোনার টিকা প্রয়োগে গতি আনার জোর চেষ্টা চলছে। ফেডারেল সরকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা কর্মী, বয়স্ক মানুষ ও সম্মুখসারির কর্মীদের টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
কিছু কিছু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিকা বিতরণ ব্যবস্থা আরও সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সার্জন জেনারেল জেরোমি অ্যাডামস বলেন, ‘কাকে প্রথম টিকা দেওয়া হবে—সে প্রশ্নে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) নীতিমালা রাজ্যগুলোর কঠোরভাবে অনুসরণ করার কোনো দরকার নেই। অল্পসংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদেরই দেওয়া উচিত। এরপর দ্রুত অন্যান্য অগ্রাধিকার গ্রুপকে দ্রুত টিকা দেওয়া দরকার।
কোন মন্তব্য নেই