সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেছে প্রাইম ফাইন্যান্স
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে প্রাইম ফাইন্যান্সের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত ও ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ হালনাগাদ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ১২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৯৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৮২ পয়সা।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে উদ্যোক্তা ও পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২২ পয়সা। সে বছরের ৩১ ডিসেম্বর এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৮ টাকা ৯৪ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৮ টাকা ৭৫ পয়সা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল প্রাইম ফাইন্যান্সের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৫০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৫ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।
ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রাইম ফিন্যান্সের অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৭২ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ২৭ কোটি ২৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৩। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ১৪ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বিদেশী ও বাকি ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৫৫ দশমিক ২৬, হালনাগাদ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ২৬২ দশমিক ৫।

কোন মন্তব্য নেই