২০২২ থেকে কার্যকর হচ্ছে আরসিইপি
আরসিইপির আওতায় ১৫টি দেশের সদস্যরা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (এফটিএ) অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। যদিও এ চুক্তির আওতায় বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্ভুক্ত নয়। পাশাপাশি চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশের যৌথ উপস্থিতিতে জাপানের করা প্রথম অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি এটি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও এ চুক্তি অনুমোদন দিয়েছে। ফলে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ায় আর কোনো বাধা নেই। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগমন্ত্রী ডান তেহান এক বিবৃতির মাধ্যমে এমনটা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আসিয়ানভুক্ত (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) অন্তত ছয় দেশের অনুমোদন এবং আসিয়ান-বহির্ভূত তিন দেশের অনুমোদনের পর ৬০ দিনের মধ্যে আরসিইপি কার্যকর হবে। ২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সরকার কর্তৃক আরসিইপি অনুমোদন দেয়ায় চুক্তিটি কার্যকর করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। ফলে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আরসিইপি চুক্তি কার্যকর হতে আর কোনো বাধা নেই।
আরসিইপি বাণিজ্য চুক্তিতে আসিয়ানের ১০ সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মূলত ৯১ শতাংশ পণ্যের ওপর থেকে বিভিন্ন ধরনের কর বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে এ চুক্তি সাজানো হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, মেধাসম্পদ এবং ই-কমার্সের ক্ষেত্রে একটি মানদণ্ড নির্ধারণের জন্য এ চুক্তি প্রণয়ন করা হয়। চুক্তির মাধ্যমে মুক্ত বাণিজ্য এলাকায় সরবরাহ চেইনের সর্বোচ্চ সুবিধাজনক ব্যবহার সহজ এবং নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়। বৈশ্বিক উৎপাদন, বাণিজ্য ও জনসংখ্যার ৩০ শতাংশই আরসিইপির আওতাধীন মুক্ত বাণিজ্য এলাকা দিয়ে পরিচালিত হয়ে থাকে।

কোন মন্তব্য নেই