ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করায় রাশিয়ার তেলে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করায় রাশিয়ার তেলে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে অস্বীকৃতি জানানোয় রাশিয়ার ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রোসনেফট ও লুকঅয়েল-এর ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এটি জানুয়ারিতে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সরাসরি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। এর মূল লক্ষ্য— রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেকে আসা রাজস্ব বন্ধ করা, যা ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
বুধবার (২২ অক্টোবর) এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, “এখনই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময়। প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থামাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, তাই ক্রেমলিনের যুদ্ধযন্ত্রে অর্থ জোগানো তেল কোম্পানিগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরেকটি যুদ্ধ শেষ করার প্রচেষ্টায় আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমাদের মিত্র দেশগুলোকে একই পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।”
এর আগে ব্রিটেন রোসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও রোসনেফটকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, তবে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার জ্বালানি নির্ভরতার কারণে লুকঅয়েলকে সাময়িক ছাড় দিয়েছে।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত শীর্ষ সম্মেলন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছি। এখন সময় উপযুক্ত নয়। তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি অনুকূল হলে বৈঠক হতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক ভারসাম্যে নতুন প্রভাব ফেলতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই