জাতীয় নির্বাচনে নিরাপত্তার প্রথম স্তর হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন ৬ লাখ আনসার সদস্য

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় নির্বাচনে নিরাপত্তার প্রথম স্তর হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন ৬ লাখ আনসার সদস্য
অনলাইন ডেস্ক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আনসার-ভিডিপি) পূর্ণ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে প্রায় ৬ লাখ আনসার সদস্য ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এক সাক্ষাৎকারে জানান, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা প্রশিক্ষিত ও ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় থাকবেন। ফলে নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, “প্রতিটি আনসার সদস্যের তথ্য ডিজিটাল সিস্টেমে সংরক্ষিত থাকবে। তাদের এনআইডি, কিউআর কোড ও দায়িত্ব সংক্রান্ত তথ্য রিয়েল টাইমে ট্র্যাক করা সম্ভব হবে। এতে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনে স্বচ্ছতা বাড়বে।”
এছাড়া নির্বাচনের আগে সকল সদস্যকে রিফ্রেশার ট্রেনিং দেওয়া হবে, যেখানে আচরণবিধি, ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও যোগাযোগ কৌশল শেখানো হবে। ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে অতিরিক্ত আনসার সদস্য রাখা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে দ্রুত মোতায়েন করা যায়।
মহাপরিচালক আরও জানান, এবারের নির্বাচনে সশস্ত্র ও নিরস্ত্র উভয় ধরনের আনসার সদস্য মাঠে থাকবেন। তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম, জ্যাকেট ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। সদর দফতর থেকে সরাসরি মনিটরিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, “আনসার বাহিনী এখন ব্যক্তিনির্ভর নয়, বরং সিস্টেমনির্ভর বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে। নির্বাচনের সময় আমরা জনগণের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক হয়ে কাজ করতে চাই।”
বর্তমানে দেশে আনসার ও ভিডিপি সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬০ লাখ। তাদের জীবনমান উন্নয়নে বাহিনী ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’সহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছে। সদস্যরা ক্ষুদ্রঋণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন।
আনসার বাহিনীর লক্ষ্য— দেশের সবচেয়ে বড় মানবসম্পদ নেটওয়ার্ক হিসেবে ‘জনগণের ফোর্স’ হয়ে উঠা, যেখানে নিরাপত্তা, সেবা ও দক্ষতা একসাথে বিকশিত হবে।
কোন মন্তব্য নেই