ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে ‘পুরুষ’ বলায় ১০ জনের বিচার শুরু
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে ‘পুরুষ’ বলায় ১০ জনের বিচার শুরু
অনলাইন ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাক্রোঁকে নিয়ে ভুয়া তথ্য ও সাইবার হয়রানির অভিযোগে ১০ জনের বিচার শুরু হয়েছে প্যারিসে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয় বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এই মামলার সূত্রপাত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, যখন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ও তার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন। কারণ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিত্তিহীন গুজব—যে ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ নাকি জন্মেছিলেন পুরুষ হিসেবে।
এই গুজব ও মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে এখন ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী আদালতের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছে ফরাসি প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা ব্রিজিত ম্যাক্রোঁর লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে অনলাইনে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। এমনকি তার স্বামীর সঙ্গে বয়সের পার্থক্যকে ‘শিশু নির্যাতন’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ।
ফ্রান্সে এ নিয়ে সাইবার হয়রানির মামলা শুরু হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্তের পর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রিজিতের আইনজীবী গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে জানা গেছে, ফার্স্ট লেডি আদালতে উপস্থিত থাকবেন কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ৪১ বছর বয়সী অরেলিন পোয়ারসন-আটলান, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জো সাগান’ নামে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ব্রিজিত ২০২২ সালেও মানহানির মামলা করেছিলেন। আরেকজন আসামি, ৫১ বছর বয়সী ডেলফাইন জে, ‘আমান্দিন রোয়া’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনা করেন, যেখানে ২০২১ সালে তিনি এক ‘সাংবাদিক’ নাতাশা রে–এর সঙ্গে চার ঘণ্টার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন।
সেই সাক্ষাৎকারেই প্রথম দাবি করা হয়—ব্রিজিতের পূর্ব নাম নাকি ছিল ‘জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু’, যা আসলে তার ভাইয়ের নাম।
২০২৪ সালে ফরাসি আদালত দুই নারী আসামিকে ব্রিজিত ও তার ভাইকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল, তবে পরে তারা আপিল করে।
উল্লেখ্য, এ বছরের জুলাইয়ে ম্যাক্রোঁ দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থি পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওউন্সের বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা করেন। অভিযোগ করা হয়, তিনি ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ব্রিজিত একজন পুরুষ’—এমন ভুয়া দাবি ছড়িয়েছেন।
দম্পতির আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে—ব্রিজিত ম্যাক্রোঁ ট্রান্সজেন্ডার নন।

কোন মন্তব্য নেই