সাভারে ইউপি সদস্য ও ছেলের বেলচাঘাত, যুবক ও মামা হাসপাতালে - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

সাভারে ইউপি সদস্য ও ছেলের বেলচাঘাত, যুবক ও মামা হাসপাতালে

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সাভারে ইউপি সদস্য ও ছেলের বেলচাঘাত, যুবক ও মামা হাসপাতালে


টাইমস এক্সপ্রেস ২৪

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ০৮:৩৪ | আপডেট: সকাল ০৮:৫১

ঢাকার ধামরাইয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগে এক যুবক ও তার মামাকে পিটিয়েছেন এক ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, হাতে-পা ধরে মাফ চাওয়ার পরও রক্ষা পাননি তারা। বেলচা ও লাঠি দিয়ে পেটানোয় দুজনেই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায়। অভিযুক্তরা হলেন—গাংগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমান আলী (৫০) ও তার ছেলে ইসমাইল (২৪)। মারধরের শিকার দুইজন হলেন—আমান উল্লাহ (২২) এবং তার মামা আঁখির আলী (৩৯)

ভুক্তভোগী আঁখির আলী বলেন, “আমার ভাগ্নে কাজের কথা বলতে ইউপি সদস্যের ভাড়াটিয়ার বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে এক ভাড়াটিয়া ফোন চুরির অভিযোগ তোলে। ভাগ্নে মাফ চেয়েছে, হাতে-পায়ে ধরেছে, কিন্তু তারা ছাড়েনি। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও মেরেছে। বেলচা দিয়ে পিটিয়েছে, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭-৮ দিন আগে ইউপি সদস্যের ভাড়া বাড়িতে রঙের কাজ করতে যান আমান। এক পর্যায়ে এক ভাড়াটিয়ার ফোন ব্যবহার করে বাইরে গেলে দেরি হওয়ায় তাকে চুরির অপবাদ দেওয়া হয়। এরপর রোববার রাতে সেই ভাড়াটিয়াকে দেখে আমান চড় মারেন। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য ঘটনাস্থলে এসে বেলচা দিয়ে তাকে পেটান বলে অভিযোগ।

ভাগ্নেকে উদ্ধার করতে গিয়ে আঁখির আলীকেও কিল-ঘুষি মারেন ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

এই ঘটনার একাধিক ভিডিও ফুটেজ স্থানীয়দের হাতে রয়েছে, যেখানে ইউপি সদস্য ইমান আলীকে যুবককে টেনে নিয়ে যেতে ও মারধর করতে দেখা গেছে।

আঁখির আলী আরও অভিযোগ করেন, “প্রায় ১৫ দিন আগে ইমান আলী আমার কাছে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এভাবে আমাকে ও আমার ভাগ্নেকে পিটিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।”

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইমান আলী ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, “আঁখির ভাগ্নে মোবাইল চুরি করেছিল, আমি মাফ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে সে আমার ভাড়াটিয়াকে মারায় আমি কিছুটা শাসন করেছি।”

ধামরাই থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

কোন মন্তব্য নেই