ইইউ-ব্রিটেন বাণিজ্যচুক্তির চেষ্টায় অগ্রগতি নেই
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে সর্বশেষ আলোচনায়ও কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে ব্রিটেন বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও বরিস জনসনের অনাগ্রহের কারণেই সেটি সম্ভব হয়নি বলে দাবি ইউরোপীয় ইউনিয়নের। তবে উচ্চ পর্যায়ের আরো একটি বৈঠক বাকি থাকায় ইতিবাচক সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা করছেন ইউরোপ ও ব্রিটেনের ব্যবসায়ীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের সব সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বর। তাই সম্ভাব্য বাণিজ্যিক অচলাবস্থা নিরসনে একটি চুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দু'পক্ষই। কিন্তু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একমত হতে না পারায় সর্বশেষ আলোচনায়ও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানালেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান আলোচক।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রধান ব্রেক্সিট আলোচক মিশেল বার্নিয়ার বলেন, সত্যি কথা বলতে আমাদের চার দিনের আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি। ব্রিটিশ সমুদ্র সীমায় দীর্ঘমেয়াদি প্রবেশের অনুমতির বিষয়ে যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অবস্থানের কারণে আগায়নি আলোচনা। তবে মানবাধিকার, অপরাধ দমন ও বিচারিক কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে আমরা একমত হতে পেরেছি। আমি আশা করছি আমরা বাণিজ্যিক বিষয়াদিতেও কোনো একটা সমাধান বের করতে পারব।
ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য সম্পর্কে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটেন কোনো চুক্তিতে আসতে না পারে তবে, দু'পক্ষেরই গাড়ি রফতানি ১০ শতাংশ শুল্কের মধ্যে পড়বে। আবার ব্রিটেনের কৃষি খাতের বেশিরভাগ শ্রমিক মধ্য ইউরোপ থেকে এসে কাজ করেন। তারা পাসপোর্ট জটিলতায় আসতে পারবেন না। তখন ব্রিটেনের খাদ্য উৎপাদনও ব্যাহত হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার মতো একটি দুর্যোগের পর ব্রেক্সিট ধাক্কা, সব মিলে বড় অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে ব্রিটেন।
আশওয়ানি গুপ্ত বলেন, কোনো চুক্তি ছাড়া যদি ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন হয় এবং গাড়ি বিক্রির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয় তবে আমাদের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ আগামীতে প্রতিযোগিতা আরো বাড়বে। আমাদের ৭০ শতাংশেরও বেশি গাড়ি ব্রিটেনের বাইরে বিক্রি হয়ে থাকে। শ্রমিকদের অনেকেই ইউরোপ থেকে এখানে এসে কাজ করছেন। নাগরিক জটিলতার কারণে তাদেরও এখানে আসা কঠিন হয়ে যাবে।
ইইউ'র প্রধান উরসুলা ভন ডের লায়েন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশের নেতার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে চলতি মাসেই। এ বৈঠকে বানিজ্যিক চুক্তির বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা থাকলেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক কারণে সেটি নাকচ করে দিয়েছেন বহু আগেই।

কোন মন্তব্য নেই