শেয়ারবাজারে থামছে পতন, লেনদেনে ফিরছে চাঙাভাব
নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা কয়েক দিন ধরেই শেয়ারবাজারে সূচকে ধারাবাহিক পতন লক্ষ্য করা গেলেও লেনদেনের পরিমাণে দেখা যাচ্ছে উত্থান। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে, বাজারে পতনের ধারা ধীরে ধীরে থামছে, বাড়ছে তারল্য প্রবাহ এবং বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে দেখা যাচ্ছে নতুন উদ্দীপনা। বাজার বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, আগামীদিনে সূচক পুনরায় শক্তিশালীভাবে উর্ধ্বমুখী হতে পারে।
আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.১১ পয়েন্ট কমে ৫,৩১৪.৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ৩.৩১ পয়েন্ট বেড়ে ১,১৫৫.৮১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ২,০৫৭.১৬ পয়েন্টে পৌঁছেছে।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশগ্রহণ করেছে, এর মধ্যে ১২১টির দর বেড়েছে, ২০৩টির দর কমেছে এবং ৭৪টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৭০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ৬৬৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার তুলনায় বৃদ্ধি নির্দেশ করছে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৩টির দর বেড়েছে, ১০০টির কমেছে এবং ২৮টির অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৮.৩০ পয়েন্ট কমে ১৪,৯২২.১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, সূচকের সামান্য ওঠানামা বাজারের স্বাভাবিক চলাচল। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—লেনদেনের ধারাবাহিক বৃদ্ধি, যা বাজারে নতুন বিনিয়োগ ও ক্রয়চাপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। গত সাত কার্যদিবসে ডিএসইর সূচক ২২২ পয়েন্ট কমেছে, তবে এর আগে তিন কার্যদিবসে সূচক বেড়েছিল ২৩৮ পয়েন্ট। বড় উত্থানের পর এমন সমন্বয় বাজারে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা আনে।
তাদের ধারণা অনুযায়ী, বর্তমান তারল্যের ধারা বজায় থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সূচক আবার শক্তিশালী উর্ধ্বমুখী হবে। এতে বাজারে নতুন বিনিয়োগ আসবে এবং তারল্য আরও সুদৃঢ় হবে।
কোন মন্তব্য নেই