শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও পাঁচ দফা প্রস্তাব ডাচ-বাংলা চেম্বারের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও পাঁচ দফা প্রস্তাব ডাচ-বাংলা চেম্বারের

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

 শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও পাঁচ দফা প্রস্তাব ডাচ-বাংলা চেম্বারের


নিউজ ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিবিসিসিআই)। সংস্থাটি বলছে, এই দুর্ঘটনা শুধু অবকাঠামো নয়, দেশের আমদানি-রপ্তানি, সরবরাহ ব্যবস্থা ও সামগ্রিক বাণিজ্যচক্রে বড় ধাক্কা সৃষ্টি করেছে।

গত ১৮ অক্টোবর বিকেলে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ এলাকায় আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়লে কিছু ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং কিছু বিকল্প রুটে সরিয়ে নেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ। প্রাথমিক হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ডিবিসিসিআই মনে করে, এ দুর্ঘটনা দেশের বাণিজ্যিক অবকাঠামোর বেশ কিছু মৌলিক দুর্বলতা উন্মোচন করেছে—
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, রাসায়নিক পণ্যের নিরাপদ সংরক্ষণের ঘাটতি, নিয়ন্ত্রণে বিলম্ব এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা।

ডিবিসিসিআইয়ের পাঁচ দফা প্রস্তাব

১️ স্বচ্ছ তদন্ত ও তথ্য প্রকাশ: ঘটনার সময়রেখা, ক্ষতির হিসাব ও ব্যবসায়ীদের যোগাযোগকেন্দ্র দ্রুত প্রকাশের আহ্বান।
২️ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা: বিমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি ও অক্ষত পণ্য ছাড়ের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা।
৩️ স্বাধীন প্রযুক্তিগত নিরীক্ষা: কার্গো টার্মিনালের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থার স্বাধীন মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন।
৪️বিকল্প পরিবহনপথ: অস্থায়ী কার্গো হাব ও বিকল্প রুট চালু করে বাণিজ্যিক ক্ষতি কমানো।
৫️ক্ষতিপূরণ ও ঝুঁকি বণ্টন নীতি: সরকার, সিএএবি ও ব্যবসায়িক সংগঠনের যৌথ আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নির্ধারণ।

ডিবিসিসিআই বলেছে, এই অগ্নিকাণ্ড শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়—এটি দেশের অবকাঠামো নিরাপত্তা ও প্রস্তুতির ঘাটতির প্রতি একটি সতর্কবার্তা। দ্রুত পুনরুদ্ধার ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকার, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও শিল্পখাতের সমন্বিত উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

কোন মন্তব্য নেই