ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল নয়, ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল নয়, ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে চুক্তি বাতিল নয়, ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য’ বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন


 টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৯ এএম

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ১০টি চুক্তি ও প্রকল্প বাতিল হয়েছে—স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এমন দাবিকে ‘আংশিক সঠিক’ এবং ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসিফ মাহমুদের দেওয়া তালিকার বেশিরভাগ চুক্তি বা প্রকল্প বাস্তবে অস্তিত্বই নেই, কিছু আবার বাতিল নয়, বরং চলমান

তিনি বলেন,

“এখন পর্যন্ত আমরা কেবল গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্সের সঙ্গে টাগবোট কেনার একটি চুক্তি বাতিল করেছি। বাকি যেসব নাম এসেছে, তার অনেকগুলো প্রকল্প বা চুক্তি বাস্তবে নেই, বা ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।”


 আসিফের দাবি বনাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা

বাতিল:

  • টাগবোট চুক্তি (গার্ডেন রিচ, ভারত)

নেই এমন চুক্তি বা প্রকল্প:

  • ত্রিপুরা–চট্টগ্রাম রেলসংযোগ

  • অভয়পুর–আখাউড়া রেলপথ সম্প্রসারণ

  • ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প

  • ফারাক্কা বাঁধ সংক্রান্ত আর্থিক সহায়তা

  • সিলেট–শিলচর সংযোগ

  • পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন সম্প্রসারণ

চলমান বা স্থগিত নয়:

  • আশুগঞ্জ–আগরতলা করিডর (আসলে “আশুগঞ্জ নদীবন্দর–সরাইল–ধরখার–আখাউড়া স্থলবন্দর”)

  • মোংলা ও মিরসরাই ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল (বাতিলের প্রক্রিয়ায়)

  • কুশিয়ারা ও গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি (এখনও বহাল)

  • আদানি পাওয়ার চুক্তি (পুনর্বিবেচনায়)

  • তিস্তা পানি চুক্তি (চূড়ান্ত নয়, আলোচনাধীন)


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন,

“তালিকাটি একজন উপদেষ্টা পোস্ট করেছেন, হয়তো না করলেও পারতেন। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করব না।”

তৌহিদ হোসেন যোগ করেন, সরকারের “সমন্বয়হীনতা” বিষয়ে মন্তব্য করাও তাঁর এখতিয়ারের বাইরে।

উল্লেখ্য, গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ গত রবিবার নিজের ফেসবুক পোস্টে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ১০টি চুক্তি বাতিলের দাবি করেন। তাঁর প্রকাশিত ফটোকার্ডে এসব চুক্তির নাম, সাল ও বর্তমান অবস্থা উল্লেখ ছিল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যার পর বিষয়টি নিয়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ বার্তা সমন্বয়যোগাযোগ ঘাটতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

কোন মন্তব্য নেই