চালের দাম কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি, বাড়ছে রিজার্ভ ও আমানত: জিইডি প্রতিবেদন - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

চালের দাম কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি, বাড়ছে রিজার্ভ ও আমানত: জিইডি প্রতিবেদন

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

চালের দাম কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তি, বাড়ছে রিজার্ভ ও আমানত: জিইডি প্রতিবেদন


টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ 

দেশে চালের দাম কমায় খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে স্বস্তির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ব্যাংক আমানত উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) প্রকাশিত সর্বশেষ অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। যদিও খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, তবে চালের দাম কিছুটা কমায় সামগ্রিক খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। আগস্টে যেখানে চালের অবদান ছিল ৪৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে তা কমে ৪৫ শতাংশে নেমেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সেপ্টেম্বরে সব ধরনের চালের দাম গড়ে প্রায় ১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি আলু ও পেঁয়াজের দাম কমায় সাধারণ ভোক্তাও স্বস্তি পেয়েছে।

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্প্রতি ভারতের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। নভেম্বরে আরও ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য দেশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুত ১৫ লাখ ৫ হাজার টন, যা গত বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি।

এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্চের ২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে ৩১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিএমপি-৬ মানদণ্ডে হিসাব করলে রিজার্ভ এখন ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

তবে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয়ে সাময়িক ধাক্কা দেখা গেছে—মাসটিতে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগস্টের ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ও জুলাইয়ের ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়নের চেয়ে কম। এর কারণ হিসেবে মৌসুমি প্রভাব ও তৈরি পোশাক খাতে সাময়িক মন্দার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে রাজস্ব আয় দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ভ্যাট আদায় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ ও আয়কর ২৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সম্প্রসারণ ও সরকারি অর্থ বিতরণে ব্যাংকের সক্রিয় ভূমিকা আমানত বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে বাড়বে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে জিইডি মনে করছে।

কোন মন্তব্য নেই