বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মশাল মিছিল, বাস্তবায়নের আহ্বান স্থানীয়দের

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
 
 বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মশাল মিছিল, বাস্তবায়নের আহ্বান স্থানীয়দের
 টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, সকাল ০৮:১৬
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোছায়া মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রায় দুই শতাব্দী আগে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার হাওরের দ্বারখ্যাত বাজিতপুরে সাত থানার চৌকি (দেওয়ানী) আদালত স্থাপন করে। পরবর্তীতে ১৯১২ সালে মহকুমা গঠনের লক্ষ্যে শত শত একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।
বক্তারা আরও জানান, হাওরাঞ্চলের কৃষি ও কৃষকের সুবিধা বিবেচনা করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাজিতপুরে বিমানবন্দর (এয়ারট্রিপ) স্থাপন করে। ভৌগোলিক অবস্থান, পরিবেশগত গুরুত্ব এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতির দিক থেকে বাজিতপুরকে জেলা ঘোষণা করা সময়ের দাবি।
সমাবেশে বাজিতপুর জেলা বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বদরুল রহমান, বিএনপি নেতা জসিম মাহমুদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলাকে জেলা ঘোষণার দাবিতেও একাধিক আন্দোলন হয়েছে। গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ভৈরব পৌর এলাকার দূর্জয় মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা, এতে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এছাড়া সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভৈরব রেলস্টেশনে রেলপথ অবরোধের ঘটনায় ট্রেন চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে। নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে এবং পাথর নিক্ষেপে কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয় ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালেও আন্দোলনকারীরা মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাট এলাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
কোন মন্তব্য নেই