চট্টগ্রামে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বালু ব্যবসায়ীর মেশিন লুট, অভিযুক্ত দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

চট্টগ্রামে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বালু ব্যবসায়ীর মেশিন লুট, অভিযুক্ত দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

 চট্টগ্রামে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে বালু ব্যবসায়ীর মেশিন লুট, অভিযুক্ত দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা


নিজস্ব প্রতিবেদক | টাইমস এক্সপ্রেস ২৪ | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৩ | আপডেট: ১০:২০

চট্টগ্রামে একটি বালু বিক্রয় কেন্দ্রে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে এক্সকাভেটর ও মালপত্র লুটের অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মোজাহের হোসেন মিঞা গত সোমবার নগর পুলিশের সহকারী কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

অভিযোগে বলা হয়, ১৬ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী থানার কৈয়গ্রাম সেতু রোডের মেসার্স কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজে কয়েকজন গিয়ে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ সংযোগ ও সিসি ক্যামেরা লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁরা ফের গিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মালপত্র লুট করে নিয়ে যান, যার মধ্যে ছিল একটি এক্সকাভেটর ও ড্রেজার মেশিনের অংশবিশেষ।

অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে—এস এম ফারুক (মোহাম্মদ ফারুক হোসেন), শাখাওয়াত হোসেন মিশু, গাজী ফোরকানমো. জাহাঙ্গীর। এদের মধ্যে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, এবং শাখাওয়াত হোসেন মিশু কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদপ্রার্থী।

 ব্যবসায়ীর অভিযোগ

ব্যবসায়ী মোজাহের হোসেন বলেন,

“চাঁদা দিতে না পারায় তারা মালপত্র লুট করে নেয় এবং আমাদের স্টাফদের মারধর করে। পরে পুলিশ ও নৌ পুলিশকে জানানো হলেও এখনো লুট হওয়া যন্ত্রপাতি ফেরত পাইনি।”

তিনি আরও জানান, ১৯ অক্টোবর রাতে ৫০–৬০ জন লোক আবার বালু বিক্রয় কেন্দ্রে হামলা চালায় এবং খননযন্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। পরে আনোয়ারা উপকূলে যন্ত্রটি উদ্ধার হলেও অভিযুক্তরা বাধা দেওয়ায় তা প্রতিষ্ঠান বুঝে নিতে পারেননি।

 অভিযুক্ত বিএনপি নেতার বক্তব্য

অভিযোগের বিষয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন,

“এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি বরং ঘটনাটি পুলিশকে জানিয়েছিলাম। মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় আমি মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছি।”

তবে ব্যবসায়ী মোজাহের হোসেন এই বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন,

“ওনারাই প্রথমে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। আমরা না দিলে এখন মালিকানা দাবি করছে—এটা হাস্যকর।”

 পুলিশের বক্তব্য

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ জানান,

“বিষয়টি বর্তমানে সহকারী কমিশনার কার্যালয় তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিজেন ফোরামের সদস্য আলমগীর বলেন,

“খননযন্ত্র এখন আমার জিম্মায় আছে। মালিকের কাছে দিতে গেলে কিছু লোক বাধা দেওয়ায় আমরা ফিরে আসি।”

কোন মন্তব্য নেই