১.৫ ডিগ্রি সীমা পেরিয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, দ্রুত নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের - TIMES EXPRESS | টাইমস এক্সপ্রেস is an interactive news portal

নিউজ ফাস্ট

১.৫ ডিগ্রি সীমা পেরিয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, দ্রুত নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

 

ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত




১.৫ ডিগ্রি সীমা পেরিয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, দ্রুত নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক || টাইমস এক্সপ্রেস ২৪
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, বিকেল ৪:৫৯

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সীমা এক দশমিক পাঁচ (১.৫) ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে মানবজাতি ব্যর্থ হয়েছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেছেন, এ পরিস্থিতি পরিবর্তনে এখনই নীতি পরিবর্তন ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বিশ্ব ধ্বংসাত্মক পরিণতির মুখে পড়বে। খবর—দ্য গার্ডিয়ান।

আগামী মাসে ব্রাজিলের বেলেমে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতিসংঘ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন কপ–৩০। এর আগে একান্ত সাক্ষাৎকারে গুতেরেস বলেন, “প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণতা বৃদ্ধির সীমা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করতে পারিনি। এই ব্যর্থতা মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য বড় হুমকি।”

তিনি আরও বলেন, কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিলম্ব করলে অ্যামাজন, আর্কটিক ও মহাসাগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশ ব্যবস্থাগুলো “টিপিং পয়েন্টে” পৌঁছে যেতে পারে, যার পরিণতি হবে অপরিবর্তনীয়।

গুতেরেসের মতে, কপ–৩০–এর মূল অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া। তিনি বলেন, “উষ্ণতার এ বৃদ্ধি যত দ্রুত এবং যতটা সম্ভব কম মাত্রায় থামানো যায়, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অ্যামাজন যেন সাভানায় পরিণত না হয়, তার জন্য এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।”

বিশ্বের ইতিহাসে গত এক দশকই সবচেয়ে উষ্ণ সময় বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো ছাড়া এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। অথচ প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত জাতীয় প্রতিশ্রুতি জমা দিয়েছে বিশ্বের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশ।

গুতেরেস বলেন, “এ পর্যন্ত দেশগুলোর পদক্ষেপে নিঃসরণ মাত্র ১০ শতাংশ কমেছে; অথচ বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রির নিচে রাখতে হলে কমাতে হবে অন্তত ৬০ শতাংশ। তাই সীমা অতিক্রম করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।”

তবে তিনি আশা হারাননি। গুতেরেস বিশ্বাস করেন, অস্থায়ীভাবে লক্ষ্য অতিক্রম হলেও শতাব্দীর শেষ নাগাদ আবার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব— যদি দেশগুলো এখন থেকেই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হয়।

তিনি কপ–৩০–এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে প্রতিনিধিত্বে পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জলবায়ু সম্মেলনে জনগণ ও আদিবাসীদের কণ্ঠস্বরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, করপোরেট লবির নয়। জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষের পথে—এখনই সময় নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর।”

কোন মন্তব্য নেই